শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৫৯

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

অনন্য অর্জন

dynamic-sidebar

স্বল্পোন্নত দেশ হইতে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হইবার স্বীকৃতি পাইয়াছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের তরফ হইতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি মিলিয়াছে। সবকিছু ঠিক থাকিলে ২০২১ সালে একদফা পর্যবেক্ষণ অন্তে ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হইবে। হাজারো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা-দুর্ঘটনায় বিদীর্ণ হইতে থাকা দেশের জন্য ইহা যে অতিশয় আনন্দ-সন্দেশ তাহাতে সন্দেহ নাই। স্বল্পোন্নত হইতে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হইবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথম উদাহরণ নহে। বস্তুত এই ঘটনা নিয়মিতই ঘটিতেছে। কিন্তু এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অনন্য নজির স্থাপন করিয়াছে। উন্নয়নশীল দেশের তকমার জন্য যেকোনো দেশকে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতার নির্দিষ্ট মানদণ্ড অতিক্রম করিতে হয়। নিয়ম মোতাবেক, তিনটির মধ্যে যেকোনো দুইটি ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হইতে পারিলে উন্নয়নশীল দেশের শিরোপার দাবিদার হওয়া যায়। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ হইতেছে তিনটি ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম দেশ। যেইকোনো কারণেই হউক না কেন, প্রভাবশালী বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের অনেকের আলোচনায় এইদিকটির উপরে সামান্যই আলোকপাত হইতেছে। তাঁহারা বরঞ্চ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হইবার অব্যবহিত পরের সম্ভাব্য সমস্যাগুলি লইয়া অধিক কথাবার্তা বলিতেছেন। সম্ভাব্য সমস্যা লইয়া সতর্কতা একান্ত আবশ্যক। কিন্তু অদৃষ্টপূর্ব এই অর্জনটি লইয়া নির্দিষ্ট মাত্রার আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়া নিজেদের সক্ষমতার বিষয়ে জনগণকে আত্মবিশ্বাসী করিয়া তুলিবার গুরুত্ব ভুলিয়া থাকাটা সমীচীন হইতেছে কি? এই প্রশ্নটি প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার জন্য আমরা পেশ করিয়া রাখিলাম।

অন্যান্য দেশের মতোই উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হইবার পরে বাংলাদেশ কয়েকটি নূতন বাস্তবতার মুখোমুখি হইবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা উঠিয়া যাওয়া, রপ্তানি শুল্ক আরোপ কিংবা শ্রমিক অধিকার বিষয়ে আমদানিকারকদের কঠোরতর অবস্থানের কারণে পণ্য উত্পাদন খরচ বাড়িয়া যাওয়ার মতো বিষয়গুলি এইক্ষেত্রে সামনে আসিবে। স্বল্প সুদের ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান কমিয়াও আসিতে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হইতে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে প্রাপ্ত জিএসপি সুবিধাও উঠিয়া যাইবে। কিন্তু প্রশ্ন হইতেছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার অর্থ কি শুধুই স্বল্পোন্নত দেশের সুবিধা প্রত্যাহার হইয়া বিপাকে পড়িয়া যাওয়া? নিশ্চয় তাহা নহে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্তির অন্যতম সুবিধা হইতেছে ভাবমূর্তি উন্নয়নজনিত কারণে বৈদেশিক ঋণপ্রাপ্তির পথ সুগম হওয়া। স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে যেইসকল উত্স হইতে ঋণপ্রাপ্তি সম্ভব হয় না, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে সেই উত্সগুলি ব্যবহার করিতে পারিবে বাংলাদেশ। বিদেশি বিনিয়োগ লাভের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য নূতন এই তকমাটি কাজে আসিবে। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা মাথায় রাখিয়া এইটুকু বলা যাইতে পারে যে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্তির সহিত বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইতিবাচক সম্পর্ক সর্বত্রই দৃশ্যমান। আশা করা যায় যে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ইহার ব্যতিক্রম হইবে না। অবশ্য বাংলাদেশ নিজেকে কতখানি বিনিয়োগ-বান্ধব হিসাবে চিহ্নিত করিতে পারিতেছে—তাহা এইক্ষেত্রে একটি বৃহত্ চ্যালেঞ্জ হিসাবে সামনে আসিবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net